Wednesday, August 13, 2014

প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে ২৬ বিলবোর্ড দখল | bangla news


ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে রাজধানীর ২৬টি বিলবোর্ডে প্রচারণা চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আর বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে কোনো প্রকার ভাড়া না দিয়ে পুরোটায় দখলে নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশনের সরকার প্রধানকে অভিবাদন জানানোর এমন বিষয়টিকে রাজনৈতিক বলে মনে করছেন অনেকেই। অন্যদিকে ঈদের আগ মুহূর্তে বিলবোর্ড দখল হওয়ায় বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোকে আর্থিক লোকসানে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সরকার সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন হওয়ায় অনেক বিজ্ঞাপনী সংস্থাই তা মুখ বুজে মেনে নিচ্ছে। এদিকে বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে কোনো প্রকার ভাড়া না দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও বিলবোর্ড ছাপার খরচ সিটি করপোরেশন থেকে বহন করা হয়েছে বলে জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল।


সিটি করপোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহীর নির্দেশে এই অভিবাদন সম্বলিত বিলবোর্ড প্রচারণা করেছি আমরা। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মোট ২৬টি বিলবোর্ডের মাধ্যমে এই প্রচারণা করছে। বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে কোনো প্রকার ভাড়া দেওয়া হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে মোস্তফা কামাল বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় বিলবোর্ডের অনুমোদন আমরাই দিয়ে থাকি। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এই বিলবোর্ড ব্যবহার করছি আমরা। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো প্রকার ভাড়া দিতে হচ্ছে না। তবে আমরা জোর করে কোনো বিলবোর্ডের দখল নিইনি। পলিসাইনের এ সব বিলবোর্ড ছাপাতে কোনো পৃষ্ঠপোষক আছে কিনা, জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, পলিসাইনের বিলবোর্ডগুলো সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নেই ছাপানো হয়েছে। তবে মোট কত টাকা এই প্রচারণায় খরচ হয়েছে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন ডিএসসিসির এই কর্মকর্তা। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পলিসাইনের এ ধরনের বিলবোর্ড ছাপাতে প্রতি বর্গফুটে ৩০ টাকা করে খরচ হয়। আর ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ এমন একটি বিলবোর্ড ছাপাতে খরচ হয় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে ২৬টি বিল বোর্ড ছাপাতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।


স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমন প্রচারণা কতটুকু যৌক্তিক জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, দেশ যদি অন্য দেশের সঙ্গে মামলা লড়ে বড় ধরনের সফলতা পায়, তাহলে সে ব্যাপারে সরকার প্রধানকে অভিবাদন জানানোটা কি অপরাধ? দেশের যে কেউই পারে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানাতে। বিষয়টি রাজনৈতিক হল কি হল না এটা বিষয় না। আমি তো মনে করি, এটা রাজনৈতিক হয়নি। এ ব্যাপারে রাজধানীর একাধিক বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে মুক্তি আর্টের এক ফিল্ড ম্যানেজার বলেন, ঈদের আগে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজের কাছে বিলবোর্ডের একটা চাহিদা থাকে। আর এ সময়ে আমাদের অনেক খালি পড়ে থাকা বিলবোর্ডও ভাড়া হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে সিটি করপোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে আর্থিক ক্ষতি তো হয়েছে। তবে সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেশি মন্তব্য না করা ভালো। আমরাও তো ব্যবসা করি। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সিটি করপোরেশন নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকা দিয়ে নগরের উন্নয়ন করবে। কিন্তু এখন তারা যদি জনগণের টাকা বিলবোর্ডের পেছনে খরচ করে, তাহলে আমাদের কি করার আছে। তিন বছর ধরে একটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দিবেন না, সরকারি আমলা দিয়ে চালাবেন। তারা তো সরকারেরই দাসত্ব করবে। সিটি করপোরেশনের এমন অভিবাদন জানানোটা পুরোটায় যুবলীগ, ছাত্রলীগের অভিবাদন জানানোর মতো হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কখনই সিটি করপোরেশন এটা করতে পারে না।’




Source:


http://ift.tt/1lVSgrw






The Late News from http://ift.tt/1j2mf3h